১ হে প্রভু, তুমিই আমাদের বাসস্থান হয়ে এসেছ, পুরুষে পুরুষে হয়ে আসছ। ২ পর্বতদের জন্ম হবার আগে, তুমি পৃথিবী ও জগৎ কে জন্ম দেবার আগে, এমনকি অনাদিকাল থেকে অনন্তকাল তুমিই ঈশ্বর। ৩ তুমি মানুষকে ধূলোতে ফিরিয়ে থাক, বলে থাক, মানুষের সন্তানেরা ফিরে যাও। ৪ কারণ সহস্র বছর তোমার দৃষ্টিতে যেন গতকাল, তা ত চলে গিয়েছে, আর যেন রাতের এক প্রহর মাত্র। ৫ তুমি তাদেরকে যেন বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছ, তারা স্বপ্নের মত; ভোরবেলায় তারা ঘাসের মতন, যা বেড়ে ওঠে। ৬ ভোরবেলায় ঘাসে ফুল ফোটে ও বেড়ে ওঠে, সন্ধ্যাবেলা ছিঁড়ে গিয়ে শুকনো হয়ে যায়। ৭ কারণ তোমার ক্রোধে আমরা ক্ষয় পাই, তোমার কোপে আমরা বিহ্বল হই। ৮ তুমি রেখেছ আমাদের অপরাধগুলো তোমার সামনে, আমাদের গুপ্ত বিষয়গুলো তোমার মুখের দীপ্তিতে। ৯ কারণ তোমার ক্রোধে আমাদের সকল দিন বয়ে যায়, আমরা নিজের নিজের বছর নিঃশ্বাসের মত শেষ করি। ১০ আমাদের আয়ুর পরিমাণ সত্তর বছর; বলবান হলে আশী বছর হতে পারে। তবুও তাদের দর্প ক্লেশ ও দুঃখ মাত্র, কারণ তা দ্রুত পালিয়ে যায় এবং আমরা উড়ে যাই। ১১ তোমার কোপের শক্তি কে বুঝে? তোমার ভয়াবহতার সমতুল্য ক্রোধ কে বোঝে? ১২ এভাবে আমাদের দিন গণনা করতে শিক্ষা দাও, যেন আমরা প্রজ্ঞার সঙ্গে বসবাস করি। ১৩ হে সদাপ্রভুু, ফের কত দিন? তোমার দাসদের প্রতি সদয় হও। ১৪ ভোরে আমাদেরকে তোমার দয়াতে তৃপ্ত কর, যেন আমরা সারাজিবন আনন্দ ও আহ্লাদ করি। ১৫ যতদিন তুমি আমাদেরকে দুঃখ দিয়েছ, যত বছর আমরা বিপদ দেখেছি, সেই অনুযায়ী আমাদেরকে আনন্দিত কর। ১৬ তোমার দাসদের কাছে তোমার কর্ম্ম, তাদের সন্তানদের উপরে তোমার প্রতাপ দেখতে পাওয়া যাক। ১৭ আর আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুুর প্রসন্নভাব আমাদের উপরে পড়ুক; আর তুমি আমাদের হাতের কাজ স্থায়ী কর, আমাদের হাতের কাজ তুমি স্থায়ী কর।