এমন জায়গা আছে যেখানে মানুষ সোনা গলিয়ে খাঁটি করে|

পাথর গলিয়ে তামা নিষ্কাসন করে|

ওরা গুহার গভীরে অন্বেষণ করে|

গভীর অন্ধকারে ওরা পাথর খোঁজে|

মানুষ যেখানে বাস করে তারা তার চেয়েও অনেক গভীর পর্যন্ত খোঁড়ে, এমন গভীরে যেখানে লোক আগে কখনও যায় নি|

তারা দড়িতে অনেক অনেক গভীর পর্যন্ত ঝুলতে থাকে|

কিন্তু মাটির তলা সম্পূর্ণ অন্যরকম,

সব কিছুই যেন আগুনের দ্বারা গলিত হয়ে রয়েছে|

এবং খাঁটি সোনা রয়েছে|

কোন শকুন সেই অন্ধকার পথ দেখে নি|

সিংহও কোন দিন সেই পথে হাঁটে নি|

ঐ শ্রমিকরা সমস্ত পর্বত খুঁড়ে খনি উন্মুক্ত করে|

তারা সব রকমের দামী পাথর দেখতে পায়|

তারা লুকানো সম্পদকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে|

আমরা কোথায় বোধশক্তি খুঁজতে যাবো?

পৃথিবীর লোক মাটি খুঁড়ে প্রজ্ঞা পেতে পারে না|

সমুদ্র বলে, ‘আমার কাছে প্রজ্ঞা নেই|’

পৃথিবীতে প্রজ্ঞা কেনার মতো যথেষ্ট রূপো নেই|

বা নীলকান্ত মণি দিয়েও প্রজ্ঞা কেনা যায় না|

এমনকি মূল্যবান রত্নখচিত সোনাও প্রজ্ঞা কিনতে পারে না|

মুক্তোর থেকেও প্রজ্ঞা মূল্যবান|

তুমি খাঁটি সোনা দিয়েও প্রজ্ঞা কিনতে পারবে না|

বোধশক্তি খুঁজতে আমরা কোথায় যাবো?

আকাশের পাখিরা পর্যন্ত প্রজ্ঞাকে দেখতে পায় না|

‘আমরা প্রজ্ঞাকে খুঁজে পাই নি|

আমরা শুধু তার সম্পর্কে গুঞ্জন শুনেছি|’

একমাত্র ঈশ্বরই জানেন প্রজ্ঞা কোথায় থাকে|

আকাশের নীচে সব কিছুই ঈশ্বর দেখতে পান|

তিনিই বৃষ্টির নিয়ম

এবং মেঘ গর্জনের পথ স্থির করেছেন|

ঈশ্বর দেখিয়েছিলেন প্রজ্ঞা কত মূল্যবান এবং ঈশ্বরই প্রজ্ঞার প্রতীক|

কোন মন্দ কাজ করো না এটাই সর্বোত্তম উপলদ্ধি|’ ”