60
ঈশ্বর আসছেন
“জেরুশালেম, আমার আলো উঠে পড়!
তোমার আলো (ঈশ্বর) আসছেন|
তোমার উপর প্রভুর মহিমা প্রতিভাত হবে|
অন্ধকার পৃথিবীকে ঢেকে দিয়েছে|
লোকরা অন্ধকারাচ্ছন্ন|
কিন্তু প্রভু তোমার উপর তাঁর কিরণ বিকীরণ করবেন|
তাঁর মহিমা তোমার উপর দেখা যাবে|
সব জাতি তোমার আলোর কাছে আসবে|
রাজারাও তোমার উজ্জ্বল আলোর (ঈশ্বর) কাছে আসবেন|
তোমার চার পাশে দেখো!
দেখ, লোকরা তোমার চারপাশে জড়ো হচ্ছে
এবং তোমার কাছে আসছে|
তোমার পুত্রদের সঙ্গে দূর দূরান্ত থেকে কন্যারাও আসছে|
 
“ভবিষ্যতে এসব ঘটবে এবং সেই সময় তুমি তোমার লোকদের দেখতে পাবে|
তোমার মুখে সুখের বহিঃপ্রকাশ থাকবে|
প্রথম তুমি ভীত হলেও
পরে উচ্ছসিত হয়ে উঠবে|
সাগর পারের সমস্ত ধনসম্পদ তোমার সামনে রাখা হবে|
জাতিসমূহের ধনসম্পদও তোমার কাছে পৌঁছবে|
মিদিয়ন ও ঐফা থেকে উটের দল
তোমার জমি পার হবে|
শিবা থেকে দীর্ঘ উটের সারি আসবে তোমার কাছে|
তারা বয়ে আনবে সোনা ও ধূপ|
তারা প্রভুর প্রশংসা করে গান গাইবে|
লোকরা কেদরের সমস্ত মেষকে একত্রিত করে তোমাকে এনে দেবে|
নবায়োত থেকে তারা মেষও আনবে|
তুমি সেগুলি আমার বেদীতে নৈবেদ্য হিসাবে দেবে|
এবং আমি তা গ্রহণ করব|
আমি আমার মন্দির
আরও সুন্দর করে বানিয়ে তুলবো|
লোকের দিকে তাকাও|
আকাশে দ্রুত পার হয়ে যাওয়া মেঘের মতো তারা তোমার দিকে অগ্রসর হচ্ছে|
তারা হল খুব দ্রুত বাসায় উড়ে যাওয়া ঘুঘু পাখীদের মত|
দূরবর্তী এলাকায় লোকরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে|
বিশাল যাত্রীবাহী জাহাজগুলি জলযাত্রার জন্য প্রস্তুত|
এই জাহাজগুলি তোমাদের ছেলেমেয়েদের দূরদেশ থেকে আনার প্রতিক্ষায রয়েছে|
তারা তাদের ঈশ্বর ইস্রায়েলের পবিত্র একজনকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য
সোনা এবং রূপো নিয়ে আসবে|
প্রভু তোমাদের জন্য চমৎ‌‌কার কাজ করবেন|
10 অন্য দেশের ছেলেমেয়েরা তোমাদের প্রাচীরগুলো আবার গড়ে তুলবে|
তাদের রাজারা তোমাদের সেবা করবে|
 
“আমি যখন তোমাদের উপর রুদ্ধ ছিলাম, তখন আমি তোমাদের শাস্তি দিয়েছিলাম|
কিন্তু এখন তোমরা আমার স্বপক্ষে,
এবং আমি তোমাদের জন্য করুণাময় হব|
11 তোমার ফটক সব সময় খোলা থাকবে|
সেগুলি দিনরাত কখনই বন্ধ হবে না|
সব জাতি ও রাজারা তোমাকে তাদের সম্পদ দেবে|
12 কোন জাতি বা দেশ যদি তোমার সেবা না করে তবে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে|
13 লিবানোনের সব মহৎ‌‌ দ্রব্যই তুমি পাবে|
লোকরা তোমাকে পাইন, ফার ও সাইপ্রাসের মতো মূল্যবান গাছ দেবে|
এই গাছগুলি জেরুশালেমে আমার জেরুশালেমস্থিত উপাসনাগৃহকে
আরও সুন্দর করে তৈরি করতে ব্যবহৃত হবে|
এই জায়গাটা আমার সিংহাসনের সামনে চৌকির মতো হবে|
এবং আমি এই জায়গাটিকে যথেষ্ট সম্মান দেব|
14 অতীতে যারা তোমাকে কষ্ট দিয়েছে
তারা এখন তোমার সামনে মাথা নত করবে|
অতীতে যারা তোমাকে ঘৃণা করত
তারা এখন তোমার পায়ে মাথা নত করবে|
তারা তোমাকে ডাকবে, ‘প্রভুর নগরী,’ ‘ইস্রায়েলের পবিত্র একজনের সিয়োন|’
 
15 “তুমি আর কখনও পরিত্যক্ত হবে না|
তুমি পুনরায় ঘৃণার পাত্র হবে না, তুমি কখনও শূন্য হবে না|
আমি তোমাকে চির কালের জন্য মহান করে দেব|
তুমি চির কালের জন্য এখন থেকেই সুখী হবে|
16 জাতিগুলি তোমার প্রয়োজনীয় সব কিছুই দেবে|
তুমি হবে মাতৃদুগ্ধপায়ী শিশুর মতো|
কিন্তু তুমি রাজার ধন ‘পান’ করবে|
তখন তুমি বুঝবে যে তিনি আমি, প্রভু, যিনি তোমাকে রক্ষা করেন|
তুমি জানতে পারবে যাকোবের মহান ঈশ্বর তোমার পরিত্রাতা|
 
17 “এখন তোমার তামা রয়েছে|
আমি তোমাকে সোনা এনে দেব|
এখন তোমার লোহা রয়েছে|
আমি তোমাকে দেব রূপা|
আমি তোমার কাঠকে তামায় পরিণত করব|
আমি তোমার পাথরকে লোহাতে পরিণত করব|
আমি তোমার শাস্তিকে শান্তিতে রূপান্তরিত করব|
এখন তোমাকে লোকরা কষ্ট দিলেও
পরে তারাই তোমার জন্য ভাল ভাল কাজ করবে|
18 তোমার দেশে আর কখনও হিংসাত্মক ঘটনার খবর থাকবে না|
লোকে আর তোমাকে বা তোমার দেশকে
আক্রমণ করবে না|
তুমি তোমার প্রাচীর সমূহের নাম দেবে ‘পরিত্রাণ’
এবং তোমার ফটকগুলির নাম দেবে ‘প্রশংসা|’
 
19 “দিনের বেলায় সূর্য আর কখনও তোমার আলো হবে না|
রাত্রে আর কখনও চাঁদ তোমার আলো হবে না|
কারণ প্রভুই তোমার চির কালের আলো|
তোমার ঈশ্বরই তোমার জ্যোতি|
20 তোমার সূর্য কখনও অস্তমিত হবে না|
তোমার চাঁদ আর কখনও অন্ধকার হবে না|
কারণ প্রভু চির কালের জন্য তোমার আলো হবেন
এবং শোকের সময় শেষ হবে|
 
21 “তোমার সব লোক ভাল হবে|
তারা পৃথিবীকে চির কালের জন্য পাবে|
তাদের আমি সৃষ্টি করেছি|
তারা আমার নিজের হাতে
গড়ে তোলা চমৎ‌‌কার বৃক্ষ|
22 সব চাইতে ছোট্ট পরিবার হবে বড় পরিবারগোষ্ঠী|
ক্ষুদ্রতম পরিবার হবে শক্তিশালী জাতি|
সঠিক সময়ে,
আমি প্রভু দ্রুত চলে আসব|
আমি এই সব ঘটনাগুলো ঘটাব|”