6
বিশেষ কাজের জন্য সাতজন মনোনীত
1 বহুলোক দলে দলে খ্রীষ্টের অনুগামী হতে লাগল৷ সেই সময় গ্রীক ভাষাভাষী বিশ্বাসীরা অপর ইহুদী বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করল যে দৈনিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণের সময়ে তাদের বিধবাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে৷ 2 তখন সেই বারোজন প্রেরিত সমস্ত অনুগামীদের ডেকে বললেন,
“লোকদের খাদ্য পরিবেশন করার জন্যে ঈশ্বরের বাক্য প্রচারের কাজ বন্ধ করা ঠিক নয়৷ 3 তাই আমার ভাইরা, তোমরা নিজেদের মধ্য থেকে সাতজন বিজ্ঞ, পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ও সুনাম সম্পন্ন লোককে বেছে নাও৷ আমরা তাদের ওপর এই কাজের ভার দেব৷ 4 এর ফলে আমরা প্রার্থনা ও ঈশ্বরের বাক্য প্রচারের কাজে আরো বেশী সময় দিতে পারব৷”
5 তাদের এই প্রস্তাব সকল বিশ্বাসীকে খুশী করল, তাই তারা এদের মনোনীত করলেন: স্তিফান (ইনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ও পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ছিলেন৷) ফিলিপ, প্রখর, নীকানর, তীমোন, পার্মিনা ও নিকলায় (ইনি ছিলেন আন্তিয়খিযার লোক, যিনি ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন৷) 6 তারা এদের সকলকে প্রেরিতদের সামনে হাজির করল; আর প্রেরিতরা প্রার্থনা করে তাঁদের ওপর হাত রাখলেন৷
7 ঈশ্বরের বাক্যের বহুল প্রচার হল, ফলে জেরুশালেমে অনুগামীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকল, এমনকি যাজক সম্প্রদায়ের মধ্যেও একটা বড় দল খ্রীষ্টে বিশ্বাস করে আনুগত্য স্বীকার করল৷
স্তিফানের বিরুদ্ধে ইহুদীগণ
8 স্তিফান ঈশ্বরের শক্তি ও অনুগ্রহে পরিপূর্ণ ছিলেন; তিনি জনসাধারণের মধ্যে নানান অলৌকিক ও পরাক্রম কাজ করতে লাগলেন৷ 9 কিন্তু ইহুদীদের মধ্যে কিছু লোক এসে স্তিফানেব সঙ্গে তর্ক শুরু করল৷ তাদের মধ্যে কেউ কেউ সমাজ-গৃহ থেকে এসেছিল যাদের নাম ছিল লিবর্ত্তীনদের সমাজ-গৃহ, আলেকসান্দ্রীয় ও কুরীনীয়৷ কিছু ইহুদীরা এই সমাজ-গৃহে যেত৷ অন্য ইহুদীরা কিলিকিয়া ও এশিয়া থেকে এসেছিল৷ 10 তাদের সঙ্গে বিজ্ঞতায় কথা বলতে পবিত্র আত্মা স্তিফানকে সাহায্য করেছিলেন৷ তাঁর কথা এতো শক্তিশালী ছিল যে তারা কেউ তাঁর সামনে দাঁড়াতে পারল না৷
11 তখন তারা কয়েকজন লোককে ঘুষ দিয়ে মিথ্যে বলাল৷ যারা বলল, “আমরা শুনেছি যে স্তিফান মোশি ও ঈশ্বরের বিরুদ্ধে নিন্দা করছে৷” 12 এইভাবে তারা জনসাধারণ, ইহুদী নেতাদের ও ব্যবস্থার শিক্ষকদের উত্তেজিত করে তুলল৷ তারা এসে স্তিফানকে ধরে নিয়ে মহাসভার সামনে হাজির করল৷
13 এরপর তারা মিথ্যা সাক্ষী দাঁড় করাল, যারা বলল, “এই লোক পবিত্র মন্দিরের বিরুদ্ধে ও বিধি-ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলতে কখনও নিবৃত্ত হয় না৷ 14 আমরা একে বলতে শুনেছি যে এই নাসরতীয় যীশু এই স্থান ধ্বংস করবে আর মোশির দেওয়া প্রথা বদলে দেবে৷” 15 তখন মহাসভায় যারা বসেছিল তারা সকলে স্তিফানের দিকে একদৃষ্টে চেয়ে দেখল, স্তিফানের মুখ স্বর্গদূতের মুখের মত উজ্জ্বল৷