22
প্রচুর ধনসম্পদের চেয়ে সুনাম বেশি কাম্য;
রুপো ও সোনার চেয়ে সম্মান পাওয়া ভালো।
 
ধনবান ও দরিদ্রের মধ্যে একটিই মিল আছে;
সদাপ্রভু তাদের উভয়েরই নির্মাতা।
 
বিচক্ষণ মানুষেরা বিপদ দেখে কোথাও আশ্রয় নেয়,
কিন্তু অনভিজ্ঞ লোকেরা এগিয়ে যায় ও শাস্তি পায়।
 
নম্রতাই সদাপ্রভুর ভয়;
এর বেতন হল ধনসম্পদ ও সম্মান ও জীবন।
 
দুষ্টদের চলার পথে ফাঁদ ও চোরা খাদ থাকে,
কিন্তু যারা নিজেদের জীবন রক্ষা করে তারা সেগুলি থেকে দূরে সরে থাকে।
 
সন্তানদের এমন এক পথে চলার শিক্ষা দাও যে পথে তাদের চলা উচিত,
ও তারা বৃদ্ধ হয়ে গেলেও সেখান থেকে ফিরে আসবে না।
 
ধনবানেরা দরিদ্রদের উপর কর্তৃত্ব করে,
ও যারা ধার করে তারা মহাজনের দাস হয়।
 
যারা অধর্মের বীজ বোনে তাদের চরম দুর্দশারূপী ফসল কাটতে হয়,
ও তারা রাগের বশে যে লাঠি চালায় তা ভেঙে যাবে।
 
উদার প্রকৃতির মানুষেরা স্বয়ং আশীর্বাদধন্য হবে,
কারণ তারা তাদের খাদ্য দরিদ্রদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়।
 
10 বিদ্রুপকারীদের তাড়িয়ে দাও, আর বিবাদও দূর হয়ে যাবে;
বিবাদ ও অপমানও মিটে যাবে।
 
11 যে বিশুদ্ধ হৃদয় ভালোবাসে ও যে অনুগ্রহকারী কথাবার্তা বলে
সে রাজাকে বন্ধু রূপে পায়।
 
12 সদাপ্রভুর চোখ জ্ঞান পাহারা দেয়,
কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের কথা তিনি বিফল করে দেন।
 
13 অলস বলে, “বাইরে সিংহ আছে!
নগরের চকে গেলেই আমি নিহত হব!”
 
14 ব্যভিচারী মহিলার মুখ এক গভীর খাত;
যে সদাপ্রভুর ক্রোধের অধীন সে সেই খাদে গিয়ে পড়ে।
 
15 শিশুর অন্তরে মূর্খতা বাঁধা থাকে,
কিন্তু শৃঙ্খলাপরায়ণতার লাঠি তা বহুদূরে সরিয়ে দেয়।
 
16 যে নিজের ধনসম্পত্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য দরিদ্রদের উপরে অত্যাচার করে
ও যে ধনবানদের উপহার দেয়—উভয়েই দারিদ্রের সম্মুখীন হবে।
জ্ঞানবানদের ত্রিশটি নীতিবচন
নীতিবচন 1
17 মনোযোগ দাও ও জ্ঞানবানদের নীতিবচনে কর্ণপাত করো;
আমার শিক্ষায় মনোনিবেশ করো,
18 কারণ তুমি যখন এগুলি অন্তরে রাখবে তখন তা আনন্দদায়ক হবে
ও সবকটি তোমার ঠোঁটে প্রস্তুত হয়ে থাকবে।
19 যেন সদাপ্রভুতে তোমার নির্ভরতা স্থির হয়,
তাই আজ আমি তোমাকে, তোমাকেই শিক্ষা দিচ্ছি।
20 তোমার জন্য আমি কি সেই ত্রিশটি নীতিবচন লিখিনি,
যেগুলি পরামর্শ ও জ্ঞানমূলক নীতিবচন,
21 যা তোমাকে সৎ হতে ও সত্যিকথা বলতে শিক্ষা দেবে,
যেন তুমি যাদের সেবা করছ
তাদের কাছে তুমি সত্যনিষ্ঠ খবর নিয়ে আসতে পারো?
নীতিবচন 2
22 দরিদ্রদের এজন্যই শোষণ কোরো না যেহেতু তারা দরিদ্র
ও অভাবগ্রস্তদের দরবারে পিষে মেরো না,
23 কারণ সদাপ্রভু তাদের হয়ে মামলা লড়বেন
ও প্রাণের পরিবর্তে প্রাণ দাবি করবেন।
নীতিবচন 3
24 উগ্রস্বভাব বিশিষ্ট লোকের সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না,
এমন কোনও লোকের সহযোগী হোয়ো না যে সহজেই ক্রুদ্ধ হয়,
25 পাছে তুমিও তাদের জীবনযাত্রার ধরন শিখে ফেলো
ও নিজেই ফাঁদে জড়িয়ে পড়ো।
নীতিবচন 4
26 এমন কোনও মানুষের মতো হোয়ো না যে বন্ধক রেখেছে
বা যে ঋণগ্রহীতার হয়ে জামিনদার হয়েছে;
27 যদি তুমি ঋণ শোধ করতে না পারো,
তবে তোমার গায়ের তলা থেকে তোমার বিছানাটিও কেড়ে নেওয়া হবে।
নীতিবচন 5
28 সীমানার যে প্রাচীন পাথরটি তোমার পূর্বপুরুষেরা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন
সেটি স্থানান্তরিত কোরো না।
নীতিবচন 6
29 কাউকে কি তাদের কাজে সুদক্ষ দেখছ?
তারা রাজাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেবাকাজ করবে;
তারা কোনও নিম্নস্তরীয় কর্মকর্তাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেবাকাজ করবে না।