33
ইস্রায়েলীদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমিক বিবরণ
মোশি এবং হারোণের নেতৃত্বে যখন ইস্রায়েলীরা মিশর থেকে সৈন্য শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী বের হয়েছিল, তখন এই হল যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমিক বিবরণ। সদাপ্রভুর আদেশমতো মোশি তাদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রমের বিবরণ নথিভুক্ত করেন। এই হল তাদের যাত্রাপথের পর্যায়ক্রম বিবরণ।
 
প্রথম মাসের পঞ্চদশ দিনে, নিস্তারপর্বের পরদিন, ইস্রায়েলীরা রামিষেষ থেকে বের হয়। তারা সমস্ত মিশরীয়ের সামনে দিয়ে সদম্ভে বেরিয়ে আসে। সেই সময় তারা তাদের প্রথমজাত সন্তানের কবর দিচ্ছিল, যাদের সদাপ্রভু আঘাত করে বধ করেছিলেন। এইভাবে ঈশ্বর তাদের দেবতাদের বিচার করেছিলেন।
ইস্রায়েলীরা রামিষেষ ত্যাগ করে সুক্কোতে ছাউনি স্থাপন করল।
তারা সুক্কোৎ ত্যাগ করে মরুভূমির প্রান্তে, এথমে ছাউনি স্থাপন করল।
তারা এথম ত্যাগ করে, পী-হহীরোতের বিপরীতমুখী হয়ে, বায়াল-সফোনের পূর্বপ্রান্তে এল। তারপর মিগ্‌দোলের কাছে ছাউনি স্থাপন করল।
তারা পী-হহীরোৎ ত্যাগ করে, সমুদ্রের ভিতর দিয়ে মরুভূমিতে গেল এবং এথমের প্রান্তরে তিনদিনের পথ অতিক্রম করে, তারা মারায় ছাউনি স্থাপন করল।
মারা ত্যাগ করে তারা এলীমে গেল, যেখানে বারোটি জলের উৎস ও সত্তরটি খেজুর গাছ ছিল। তারা সেখানে ছাউনি স্থাপন করল।
10 তারা এলীম ত্যাগ করে লোহিত সাগরতীরে ছাউনি স্থাপন করল।
11 তারা লোহিত সাগর ত্যাগ করে, সীন প্রান্তরে ছাউনি স্থাপন করল।
12 সীন প্রান্তর ত্যাগ করে তারা দপ্‌কাতে ছাউনি স্থাপন করল।
13 দপ্‌কা ত্যাগ করে তারা আলূশে ছাউনি স্থাপন করল।
14 আলূশ ত্যাগ করে তারা রফীদীমে ছাউনি স্থাপন করল, যেখানে লোকদের পান করার জন্য জল ছিল না।
15 রফীদীম ত্যাগ করে তারা সীনয় মরুভূমিতে ছাউনি স্থাপন করল।
16 সীনয় মরুভূমি ত্যাগ করে তারা কিব্রোৎ-হত্তাবায় ছাউনি স্থাপন করল।
17 কিব্রোৎ-হত্তাবা ত্যাগ করে তারা হৎসেরোতে ছাউনি স্থাপন করল।
18 হৎসেরোৎ ত্যাগ করে তারা রিৎমায় ছাউনি স্থাপন করল।
19 রিৎমা ত্যাগ করে তারা রিম্মোণ-পেরসে ছাউনি স্থাপন করল।
20 রিম্মোণ-পেরস ত্যাগ করে তারা লিব্‌নায় ছাউনি স্থাপন করল।
21 লিব্‌না ত্যাগ করে তারা রিস্‌সায় ছাউনি স্থাপন করল।
22 রিস্‌সা ত্যাগ করে তারা কহেলাথায় ছাউনি স্থাপন করল।
23 কহেলাথা ত্যাগ করে তারা শেফর পর্বতে ছাউনি স্থাপন করল।
24 শেফর পর্বত ত্যাগ করে তারা হরাদায় ছাউনি স্থাপন করল।
25 হরাদা ত্যাগ করে তারা মখেলোতে ছাউনি স্থাপন করল।
26 মখেলোৎ ত্যাগ করে তারা তহতে ছাউনি স্থাপন করল।
27 তহৎ ত্যাগ করে তারা তেরহে ছাউনি স্থাপন করল।
28 তেরহ ত্যাগ করে তারা মিৎকায় ছাউনি স্থাপন করল।
29 মিৎকা ত্যাগ করে তারা হশ্‌মোনায় ছাউনি স্থাপন করল।
30 হশ্‌মোনা ত্যাগ করে তারা মোষেরোতে ছাউনি স্থাপন করল।
31 মোষেরোৎ ত্যাগ করে তারা বনেয়াকনে ছাউনি স্থাপন করল।
32 বনেয়াকন ত্যাগ করে তারা হোর্-হগিদ্‌গদে ছাউনি স্থাপন করল।
33 হোর্-হগিদ্‌গদ ত্যাগ করে তারা যট্‌বাথায় ছাউনি স্থাপন করল।
34 যট্‌বাথা ত্যাগ করে তারা অব্রোণায় ছাউনি স্থাপন করল।
35 অব্রোণা ত্যাগ করে তারা ইৎসিয়োন-গেবরে ছাউনি স্থাপন করল।
36 ইৎসিয়োন-গেবর ত্যাগ করে তারা সীন মরুভূমিতে, কাদেশে ছাউনি স্থাপন করল।
37 কাদেশ ত্যাগ করে তারা ইদোমের সীমানায়, হোর পর্বতে ছাউনি স্থাপন করল। 38 সদাপ্রভুর আদেশে যাজক হারোণ হোর পর্বতে উঠে গেলেন। ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে বের হওয়ার পর, চল্লিশতম বছরের পঞ্চম মাসের প্রথম দিনে, তিনি সেখানে প্রাণত্যাগ করলেন। 39 হোর পর্বতে মারা যাবার সময় হারোণের বয়স হয়েছিল, 123 বছর।
40 কনানীয় রাজা অরাদ, যিনি কনানের নেগেভ অঞ্চলে বসবাস করতেন, তিনি শুনলেন যে ইস্রায়েলীরা আসছে।
41 তারা হোর পর্বত ত্যাগ করে সল্‌মোনায় ছাউনি স্থাপন করল।
42 সল্‌মোনা ত্যাগ করে তারা পূনোনে ছাউনি স্থাপন করল।
43 পূনোন ত্যাগ করে তারা ওবোতে ছাউনি স্থাপন করল।
44 ওবোৎ ত্যাগ করে তারা মোয়াবের সীমানায় ঈয়ী-অবারীমে ছাউনি স্থাপন করল।
45 তারা ঈয়ী-অবারীম ত্যাগ করে দীবোন গাদে ছাউনি স্থাপন করল।
46 তারা দীবোন গাদ ত্যাগ করে অল্‌মোন দিব্লাথয়িমে ছাউনি স্থাপন করল।
47 অল্‌মোন দিব্লাথয়িম ত্যাগ করে তারা নেবোর কাছে অবারীম পর্বতমালায় ছাউনি স্থাপন করল।
48 অবারীম পর্বতমালা ত্যাগ করে জর্ডন সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে, মোয়াবের সমতলে ছাউনি স্থাপন করল। 49 সেখানে, তারা মোয়াবের সমতলে, জর্ডন বরাবর, বেথ-যিশীমোৎ থেকে আবেল শিটিম পর্যন্ত ছাউনি স্থাপন করল।
 
50 জর্ডন সমীপে, যিরীহোর অপর পাশে, মোয়াবের সমতলে সদাপ্রভু মোশিকে বললেন, 51 “ইস্রায়েলীদের সঙ্গে কথা বলো এবং তাদের বলো, ‘তোমরা যখন জর্ডন অতিক্রম করে কনানে যাবে, 52 সেখানকার সমস্ত অধিবাসীদের বিতাড়িত করবে। তাদের সমস্ত ক্ষোদিত প্রতিমা ও ছাঁচে ঢালা দেবমূর্তি বিনষ্ট এবং তাদের উচ্চস্থলগুলি ধ্বংস করবে। 53 দেশ দখল করে তার মধ্যে উপনিবেশ স্থাপন করবে, কারণ আমি ওই দেশ তোমাদের অধিকারের জন্য দিয়েছি। 54 গোষ্ঠী অনুসারে গুটিকাপাত দ্বারা সেই দেশ তোমরা ভাগ করবে। বেশি লোককে বেশি অংশ এবং যাদের লোকসংখ্যা অল্প তাদের অল্প অংশ দেবে। গুটিকাপাত দ্বারা তাদের যা নির্ধারিত হবে তা তাদেরই। তোমাদের পৈতৃক গোষ্ঠী অনুযায়ী তা বণ্টন করবে।
55 “ ‘কিন্তু, যদি তোমরা সেই দেশনিবাসীদের তাড়িয়ে না দাও, যাদের তোমরা বসবাস করার অনুমতি দেবে, তারা তোমাদের চোখের শূল ও বুকের অঙ্কুশস্বরূপ হবে। যে দেশে তোমরা বসবাস করবে, সেখানে তারা তোমাদের ক্লেশ দেবে। 56 তখন আমি তোমাদের প্রতি তাই করব, যা আমি তাদের প্রতি করতে মনস্থ করেছিলাম।’ ”