17
1 যোষেফের প্রথম সন্তানরূপে মনঃশি বংশের জন্য বরাদ্দ অংশটি এইরকম। গিলিয়দীয়দের পূর্বপুরুষ, মনঃশির বড়ো ছেলে মাখীর, গিলিয়দ ও বাশন লাভ করলেন, কারণ মাখিরীয়েরা মহাযোদ্ধা ছিল। 2 অতএব এই অংশটি মনঃশি বংশের অবশিষ্ট লোকদের জন্য—অবীয়েষর, হেলক, অস্রীয়েল, শেখম, হেফর ও শমীদা গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ হল। গোষ্ঠী অনুসারে এরাই যোষেফের ছেলে মনঃশির অন্যান্য পুরুষ বংশধর।
3 এদিকে মনঃশির ছেলে মাখীর, তার ছেলে গিলিয়দ, তার ছেলে হেফর, তার ছেলে সল্ফাদের কোনও পুত্রসন্তান ছিল না, কিন্তু শুধু এই কয়েকটি মেয়ে ছিল, যাদের নাম মহলা, নোয়া, হগ্লা, মিল্কা ও তির্সা। 4 তারা যাজক ইলীয়াসর, নূনের ছেলে যিহোশূয় ও নেতাব্যক্তিদের কাছে গিয়ে বলল, “সদাপ্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন যেন আমাদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আমাদেরও এক উত্তরাধিকার দেওয়া হয়।” তাই সদাপ্রভুর আদেশানুসারে যিহোশূয়, তাদের কাকাদের সঙ্গে তাদেরও এক উত্তরাধিকার দিলেন। 5 জর্ডনের পূর্বপাড়ে গিলিয়দ ও বাশন ছাড়াও মনঃশি বংশের ভাগে আরও দশ খণ্ড জমি এল, 6 কারণ মনঃশি বংশের মেয়েরাও ছেলেদের মধ্যে এক উত্তরাধিকার লাভ করল। গিলিয়দ দেশটি মনঃশির অবশিষ্ট বংশধরদের অধিকারভুক্ত হল।
7 মনঃশির এলাকা আশের থেকে শিখিমের পূর্বদিকে অবস্থিত মিক্মথৎ পর্যন্ত বিস্তৃত হল। সীমানাটি সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে এগিয়ে গিয়ে ঐন-তপূহে বসবাসকারী লোকদেরও যুক্ত করল। 8 (মনঃশির সন্তানেরা তপূহ দেশটি পেয়েছিল, কিন্তু মনঃশির সীমানায় অবস্থিত তপূহ নগরটি ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত থেকে গেল) 9 পরে সেই সীমানা দক্ষিণ দিকে কানা গিরিখাত পর্যন্ত এগিয়ে গেল। সেখানে মনঃশির নগরগুলির মধ্যে ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত নগরগুলিও পড়ে গেল, কিন্তু মনঃশির সীমানা ছিল সেই গিরিখাতের উত্তর দিকে এবং তা ভূমধ্যসাগরে গিয়ে শেষ হল। 10 দক্ষিণ দিকের দেশটি ছিল ইফ্রয়িমের অধিকারভুক্ত, যা মনঃশির উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। মনঃশির এলাকা ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত পৌঁছাল এবং উত্তর দিকে আশের ও পূর্বদিকে ইষাখর তার সীমানা হল।
11 ইষাখর ও আশেরের সীমার মধ্যে মনঃশি চারপাশের উপনিবেশ সমেত বেথ-শান, যিব্লিয়ম এবং দোরের, ঐনদোরের, তানকের ও মগিদ্দোর অধিবাসীদেরও লাভ করল। (তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তৃতীয় নগরটি হল নাফোৎ* 17:11 অর্থাৎ, নাফোৎ-দোর।)।
12 তবুও, মনঃশির সন্তানেরা এসব নগর দখল করতে পারেনি, কারণ কনানীয়েরা ওইসব অঞ্চলে বসবাস করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েই ছিল। 13 অবশ্য, ইস্রায়েলীরা যখন আরও শক্তিশালী হল, তখন তারা কনানীয়দের বেগার শ্রমিক হতে বাধ্য করল, কিন্তু সেখান থেকে তাদের সম্পূর্ণরূপে তাড়িয়ে দিল না।
14 যোষেফের সন্তানেরা যিহোশূয়কে বলল, “আপনি কেন এক উত্তরাধিকাররূপে আমাদের শুধু একটি অংশ ও একটি ভাগ দিয়েছেন? আমরা বহুসংখ্যক এক জাতি, এবং সদাপ্রভু আমাদের প্রচুর পরিমাণে আশীর্বাদ করেছেন।”
15 “তোমরা যদি এতই বহুসংখ্যক,” যিহোশূয় উত্তর দিলেন, “এবং ইফ্রয়িমের পার্বত্য প্রদেশ তোমাদের জন্য খুব ছোটো হয়ে যাচ্ছে, তবে অরণ্যে উঠে যাও এবং সেই পরিষীয় ও রফায়ীয়দের দেশে গিয়ে সেখানে নিজেদের জন্য তোমরা জমিজায়গা পরিষ্কার করে নাও।”
16 যোষেফের সন্তানেরা উত্তর দিল, “সেই পার্বত্য প্রদেশ আমাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আর সমতলে, বিশেষত, বেথ-শানে ও সেখানকার উপনিবেশগুলিতে এবং যিষ্রিয়েল উপত্যকায় বসবাসকারী কনানীয়দের কাছে লৌহরথ আছে।”
17 কিন্তু যিহোশূয় যোষেফ বংশকে—ইফ্রয়িম ও মনঃশিকে—বললেন, “তোমরা বহুসংখ্যক ও খুব শক্তিশালী। তোমরা শুধুমাত্র একটি অংশ পাবে না 18 কিন্তু তোমরা বনাকীর্ণ পার্বত্য প্রদেশও পাবে। সেটি পরিষ্কার করে নাও, এবং এর সর্বাধিক দূরবর্তী সীমানা তোমাদেরই হবে; যদিও কনানীয়দের লৌহরথ আছে ও তারা যদিও শক্তিশালী, তোমরা কিন্তু তাদের তাড়িয়ে দিতে পারবে।”