শিমিয়োনের জন্য জমি-জায়গা
19
1 তারপর যিহোশূয় শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারকে জমি-জায়গা দিলেন| সে সব জমি ছিল যিহূদার এলাকার ভেতরে|
2 তারা পেয়েছিল বের্-শেবা (শেবাও বলা যেতে পারে), মোলাদা,
3 হৎসর-শূয়াল, বালা, এৎসম,
4 ইল্তোলদ, বথূল, হর্মা,
5 সিক্লগ, বৈৎ-মর্কাবোৎ, হৎসর-সূষা,
6 বৈৎ-লবায়োৎ এবং শারূহণ| চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে 13টি শহর|
7 তারা আরও যে সব শহর পেয়েছিল সেগুলো হচ্ছে: ঐন, রিম্মোণ, এখর এবং আশন| চারপাশের মাঠঘাট নিয়ে চারটে শহর| এছাড়া তারা বালত্-বের (নেগেভের রামো) পর্যন্ত সমস্ত শহরের চারপাশের মাঠ-ঘাট পেল|
8 তাছাড়াও বালত্-বের পর্যন্ত সমস্ত শহরের চতুর্দিকের মাঠ| তাহলে এই হচ্ছে শিমিয়োনের পরিবারগোষ্ঠীর এলাকা| প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গা পেয়েছিল|
9 শিমিয়োনের জমির অংশ যিহূদার এলাকার মধ্যেই ছিল| যিহূদার লোকরা দরকারের চেয়ে অনেক বেশী জমি পেয়েছিল| তাই তাদের জমির কিছু অংশ শিমিয়োনের লোকরা পেয়েছিল|
সবূলূনের জন্য জমি-জায়গা
10 এরপর জমি-জায়গা পেয়েছিল সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী| এই গোষ্ঠীর প্রত্যেক পরিবারই পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো জমি-জায়গা পেয়েছিল| সবূলূনের সীমানা ছিল সুদূর সারীদ অবধি|
11 তারপর সীমানাটি পশ্চিম মুখে মারালার দিকে গেছে এবং দব্বেশত্ ছুঁয়েছে| তারপর সীমা চলে গেছে যক্লিয়ামের উপত্যকা বরাবর|
12 তারপর সীমানা গেছে পূর্বদিকে বেঁকে সারীদ থেকে কিশ্লোত্-তাবোর পর্যন্ত, সেখান থেকে দাবরৎ আর যাফিয়ে|
13 আরও পূর্বদিকে গাৎ-হেফর এবং এৎ-কাৎসীনে, শেষ হয়েছে রিম্মোণে| তারপর সীমানা ঘুরে গেছে নেয়ের দিকে|
14 নেয়ে থেকে আবার বেঁকে গিয়ে উত্তরে হন্নাখোন হয়ে যিপ্তেল উপত্যকার দিকে চলে গেছে|
15 এই চৌহদ্দির মধ্যে যেসব শহর রয়েছে সেগুলো হচ্ছে কটত্, নহলাল, শিম্রোণ, য়িদালা এবং বৈৎলেহম| মাঠঘাট নিয়ে মোট 12 টি শহর|
16 এই হল সবূলূনের শহরসমূহ আর মাঠঘাট| এই পরিবারের প্রত্যেকেই এই সব জায়গার ভাগ পেয়েছিল|
ইষাখরের জন্য জমি-জায়গা
17 দেশের চতুর্থ অংশ দেওয়া হয়েছিল ইষাখর পরিবারগোষ্ঠীকে| প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল|
18 এদের দেওয়া হয়েছিল যিষ্রিয়েল, কসুল্লোৎ, শূনেন,
19 হফারয়িম, শীয়োন, অনহরৎ,
20 রব্বীৎ, কিশিয়োন, এবস,
21 রেমৎ, ঐন্-গন্নীম, ঐন্-হদ্দা এবং বৈৎ-পৎসেস|
22 জমির সীমানা হচ্ছে তাবর, শহৎসূমা এবং বৈৎ-শেমশ| শেষ হয়েছে যর্দন নদীতে| মোট 16টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট|
23 এই সব শহর ইষাখরের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল| প্রত্যেক পরিবারই জমির ভাগ পেয়েছিল|
আশেরদের জন্য জমিজায়গা
24 দেশের পঞ্চম ভাগ আশের পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল| সকলেই জমির অংশ পেয়েছিল|
25 তাদের দেওয়া হয়েছিল হিল্কত্, হলী, বেটন, অক্ষক,
26 অলম্মেলক, অমাদ আর মিশাল|
পশ্চিম সীমা গেছে কর্মিল পর্বত এবং শীহোর-লিব্নত্ পর্যন্ত|
27 তারপর সীমানা মোড় নিয়েছে পূর্ব মুখে| এটি গেছে বৈৎ-দাগোন পর্যন্ত| এটি সবূলূন এবং যিপ্তেল উপত্যকা ছুঁয়েছে| তারপর এটি বৈৎ-এমক এবং নীয়েলের উত্তরদিকে চলে গেছে| সীমানাটি কাবুলের উত্তরদিকে বিস্তৃত হয়েছে|
28 সীমানা গেছে এব্রোণ, রহোব, হম্মোন এবং কান্না পর্যন্ত| এইভাবে বৃহত্তর সীদোন অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত|
29 এরপর সীমানা রামার দক্ষিণদিকে ফিরে গেছে| সীমানাটি এগিয়ে গেছে শক্তিশালী সোর শহর পর্যন্ত| তারপর ঘুরে গেছে পশ্চিম দিকে হোষায, শেষ হয়েছে অকষীবের কাছে সমুদ্রে|
30 তাছাড়া উম্মা, অফেক এবং রহোব এইসব অঞ্চল|
মোট 22টি শহর আর তাদের চারপাশের মাঠঘাট|
31 এই সব শহর আর মাঠঘাট ছিল আশের পরিবারগোষ্ঠীর জন্য| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির অংশ পেয়েছিল|
নপ্তালির জন্য জমিজায়গা
32 দেশের ষষ্ঠ অংশ পেল নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী| প্রত্যেক পরিবারই জমির অংশ পেয়েছিল|
33 তাদের জায়গার সীমানা শুরু হয়েছে সানন্নীমের কাছে একটা বিরাট গাছ থেকে| গাছটা হেলফের কাছে অদামী-নেকব এবং যবনিয়েলের ভেতর দিয়ে সীমানা লক্কুম হয়ে যর্দন নদীতে শেষ হয়েছে|
34 সীমাটি অসনোৎ-তাবোরে এসে আবার পশ্চিমদিকে ফেরৎ গেছে| এটি হুক্কোকের কাছে উপত্যকা থেকে বেরিয়ে এসেছে| সবূলূন ছিল সীমাটির উত্তর দিকে, আশন ছিল পশ্চিমে| যিহূদাতে যর্দন নদী ছিল সীমাটির পূর্ব সীমা|
35 এই সব সীমানার মধ্যে কয়েকটা শক্তিশালী শহর রয়েছে| সেগুলো হচ্ছে: সিদ্দীম, সের, হম্মৎ, রক্কত্, কিন্নেরত্,
36 অদামা, রামা, হাৎসোর,
37 কেদশ, ইদ্রিয়ী, ঐন্-হাৎসোর,
38 যিরোণ, মিগ্দল-এল, হোরেম, বৈৎ-অনাৎ এবং বৈৎ-শেমশ মোট 19টি শহর এবং চারপাশের মাঠঘাট|
39 এইসব শহর আর মাঠঘাট নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমির ভাগ পেয়েছিল|
দানের জন্য জমিজায়গা
40 এরপর জমি-জায়গা দেওয়া হল দান পরিবারগোষ্ঠীকে| প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীই জমি পেয়েছিল|
41 তাদের দেওয়া হয়েছিল এই সব জায়গা: সরা, ইষ্টায়োল, ঈর্-শেমশ,
42 শালবীন, অয়ালোন, যিত্লা,
43 এলোন, তিম্না, ইক্রোণ,
44 ইল্তকী, গিব্বথোন, বালত্,
45 যিহূদ, বনে-বরক, গাৎ-রিম্মোণ,
46 মেযর্কোণ, রক্কোন এবং যাফোর নিকটবর্তী জায়গাগুলো|
47 কিন্তু দানের লোকদের জায়গা পেতে ঝামেলায পড়তে হয়েছিল| শত্রুরা ছিল শক্তিশালী| তাদের তারা সহজে হারাতে পারে নি| সেই জন্য দানের লোকরা লেশমের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিল| লেশম জয় করে তারা সেখানকার লোকদের হত্যা করে| এই ভাবে তারা লেশম শহরে বাস করেছিল| জায়গাটার নাম পাল্টে রাখলো দান| কারণ তাদের পরিবারগোষ্ঠীর পিতৃপুরুষের নাম ছিল দান|
48 এই সব শহর ও মাঠঘাট দান পরিবারগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল| প্রত্যেক পরিবারই জমি-জায়গার ভাগ পেয়েছিল|
যিহোশূয়র জন্য জমি-জায়গা
49 এই ভাবে দলপতিরা জমি-জায়গা ভাগ বাঁটোয়ারা করে বিভিন্ন পরিবারগোষ্ঠীকে দিয়েছিল| ভাগাভাগির কাজ শেষ হলে সমস্ত ইস্রায়েলবাসী নূনের পুত্র যিহোশূয়কে কিছু জমি দেবে বলে ঠিক করলো|
50 প্রভু আদেশ দিয়েছিলেন তিনি যেন এই জমি-জায়গা পান| তাই ইস্রায়েলবাসীরা যিহোশূয়কে দিল পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িমের তিম্নত্-সেরহ নামক শহর| এই শহরটা ছিল যিহোশূয়র পছন্দ| তাই শহরটাকে বেশ ভালো করে মজবুত করে তৈরী করে, তিনি সেখানে বাস করতে থাকলেন|
51 এই ভাবে ইস্রায়েলের সমস্ত পরিবারগোষ্ঠীকে এই সব জায়গা ভাগাভাগি করে দেওয়া হল| যাজক ইলিয়াসর নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং প্রত্যেক পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানরা জমিজায়গা ভাগাভাগি করার জন্য শীলোতে একত্র হয়েছিলেন| সমাগম তাঁবুর দরজায় প্রভুর সামনে তাঁরা সকলে সমবেত হয়েছিলেন| এইভাবে তাঁরা জমি-জায়গা ভাগাভাগির কাজ শেষ করেছিলেন|